মেঘনা ও তেতুলিয়ার মোহনায় ভেসে উঠা দ্বীপটি, যেভাবে ভোলা হয়ে উঠলো
দক্ষিণ শাহবাজপুর নামকরণের সাথে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছে এদেশে মোগল শাসনকর্তাদের ইতিহাস। এই দ্বীপাঞ্চলটি এক সময় সুবে বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। জানা যায়, ১৫০০ সালের দিকে পর্তুগিজ ও আরাকান জলদস্যুদের দৃষ্টি পড়ে দ্বীপটির ওপর। ১৫৩৮ সালে সুলতান মাহমুদ শাহ পর্তুগিজদের বিনাশর্তে বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুমতি দেন। এদের মধ্যে একটি দল ব্যবসা-বাণিজ্য, আরেকটি দল ধর্ম প্রচার ও অপর দলটি চুরি-ডাকাতি, খুন-খারাবি ও দস্যুবৃত্তিতে লিপ্ত হয়। অল্পকালের মধ্যেই পর্তুগিজ জলদস্যুদের সাথে আরাকানি জলদস্যুদের সখ্য গড়ে ওঠায় তারা মিলিতভাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল হাতিয়া, সন্দ্বীপ, মনপুরা, ভোলা, বাকেরগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে নির্বিচারে হত্যা, লুণ্ঠন ও নারী নির্যাতন চালাতে থাকে। এদের সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতনের কাহিনির নিখুঁত চিত্র পাওয়া যায় মোগল কর্মচারী শিহাবুদ্দিন তালিশ, মীর্জা নাথান ও ফ্রান্সের পর্যটক বার্ণিয়ের-এর লেখা বিবরণীতে। মোগল কর্মচারী শিহাবুদ্দিন তালিশ পর্তুগিজ ও আরাকানি জলদস্যুদের নৃশংসতার বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেন,